বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশো গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর আওয়তায় গঠিত একটি স্থানীয় মীমাংসামুলক তথা সালিশি আদালত।
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করিয়া মোট পাঁচজন সদস্য লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হয়। তবে প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইতে হয়।
গ্রাম আদালত ‘গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬’ এর তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত ফৌজদারী অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক ২৫০০০/ (পঁচিশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারে৷
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে: অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি পূর্বে অন্য কোন আদালত কর্তৃক কোন আদালত গ্রাহ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকে। ও দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে: ক) যখন কোন অপ্রাপ্ত বয়স্কের স্বার্থ জড়িত থাকে, খ) বিবাদের পক্ষগণের মধ্যে বিদ্যমান কলহের ব্যাপারে কোন সালিশের ব্যবস্থা (সালিশি চুক্তি) করা হয়ে থাকলে, গ) মামলায় সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কার্যরত কোন সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকলে এবং ঘ) কোন অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে কোন মামলা দায়ের
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস